Search

ক্রাইম,ড্রামা। আমার খুব পছন্দের একটা জেনার। মনমুগ্ধ হয়ে এই মুভিগুলো উপভোগ করার জন্যই। 
সাধারনত মুভিগুলো সত্যিকার কাহিনি অবলম্বনেই করা হয়। যাতে করে ব্যাপারটা আর সুন্দর করে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা যায়। নিয়মিত বের হছে অজস্র ক্রাইম, ড্রামা ফিল্ম  । কোটিদের ভিড়ে City of God বেচে থাকা একটা জিনের মত। সপ্তাহ হলো দেখলাম। এরকম অসাধারন ইন্টারটেইনমেন্ট খুব কম মুভিতেই পেয়েছি। ২ ঘণ্টার মুভি চোখের পলকে সময় গিললো। টেনে ছেচড়ে নিয়ে গেল ব্রাজিলে, একটা নষ্ট সময়ে, অরক্ষিত পরিবেশ এবং অসম্মানের দেশে।



 পাউলো লিন্‌স-এর উপন্যাস "সিদাদ দি দেউস" অবলম্বনে চিত্রনাট্য লিখেন ব্রাউলিও মানতোভানি। মুভিটির ইংরেজি পরিচয় City of God । অস্কার মনোনিত একটা ব্রাজিলীয় চলচ্চিত্র । পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে Fernando Meirelles, Kátia Lund। মুল চরিত্রে অভিনয় করেছে Alexandre Rodrigues, Matheus Nachtergaele এরা কেউ সেরকম পরিচিত কেউ না। 
    
চলচ্চিত্রটি এ পর্যন্ত বহু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। সেরা চিত্রনাট্য, সেরা চিত্রগ্রহণ, সেরা সম্পাদনা, সেরা পরিচালক- এ চার ক্যাটাগরিতে ২০০৪ সালে একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন পায়।

এ ছবির অধিকাংশ অভিনেতাই আগে কখনও অভিনয় করেননি। পরিচালক সিদাদ দি দেউস বস্তির অধিবাসী বেশ কয়েকজনকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন।

বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট এই ছবিকে মার্টিন স্কোরসেজি পরিচালিত গুডফেলাস ছবির সাথে তুলনা করেছেন এবং তিনি মনে করেন এটি সে ধরণের তুলনার যোগ্য। তার মতে এই ছবি সৃজনশীল অনেক কিছু করতে পেরেছে।
   
রটেন টম্যাটোস-এ রেটিং ৯২% অর্থাৎ শতকরা ৯২ জন সমালোচকই প্রশংসা করেছেন। আই এম ডি বি এটাকে তাদের সেরা ২৫০ মুভির লিষ্টে ১৮তম অবস্থানে রেখেছে। এম্পায়ার ম্যাগাজিন ২০০৩ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছ। আর টাইম ম্যাগাজিন একে সর্বকালের সেরা ১০০ ছবির তালিকায় স্থান দিয়েছে।
  
"Fight and you'll never survive... Run and you'll never escape."

ব্রাজিলের "রিও ডি জানিরিয়ো" শহরে কাহিনির বেড়ে ওঠা। ঘটনা সিদাদ দি দেউস বস্তিতে, বস্তি বসবাস্রত সব মানুষগুলোই অসংলগ্ন, অনিয়মতান্ত্রিক, অপরাধের বেড়াজালে যাদের বেচে থাকার চেষ্টা। আর সেখানের শিশুদের অবস্থা আরো শোচনিয়। প্রতিনিয়ত তারা নরকের দিকে যাচ্ছে। ড্রাগ,খুন আর বিভিন্ন ক্রাইমে তারা নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। এটা মুভির একটা টার্ন। এখানে বড়দের সাইকোলজিটা বুঝিয়ে কাহিনি মোড় ঘুরানো হবে। যে জিনিষটা খুব সহজেই প্রশংসার দাবীদার।

যাদের দেখানো হলো, তাদের ফলাফলে দেখাও হলো। এবার কাহিনি ঘুরছে একেবারে ছোটদের লজিকে। অপরাধ তাদের ভিতরে এমন প্রভাব ফেলেছে তারা সপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আর সেই সপ্ন একজন প্রভাবশালী ক্রিমিনাল হবার।

আলাদা আলাদা ভাগ করে গল্পবলার ছন্দে কাহিনি এগিয়ে যাবে। এবং এই গল্প বলার ভঙ্গিটা Quentin Tarantino এর Pulp Fiction এবং Martin Scorsese এর  Goodfellas মুভিতে এর আগে আমরা দেখেছি। 

পুরো গল্পটি একান্ত নিজের ভাষায় প্রকাশ করবে Rocket । যার ভাইএর করুন পরিনতি দেখে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটা স্বাধিন এবং পরিষ্কার জীবনের। তার জীবনে আসে প্রেম,আসে দুখ আসে সব। তারপরো সে থেমে থাকে। ফটোগ্রাফার হবার সপ্ন তিলে তিলে মনে আখড়ে রাখে সে। আরেক চরিত্র Li'l Dice। তার সপ্ন ক্রিমিনাল হবে। আর এই দুই চরিত্রের অদ্ভুত সংমিশ্রনে প্রকাশিত হলো City of God।

মুভিতে আছে পরিমিত থ্রিলিং । রোমান্স। স্থানে স্থানে টুইষ্ট এবং বেশ মজাদার সংলাপ। শুরুটা অস্মভব সুন্দর। ১৮+ মুভি বলা যেতে পারে। একা দেখাই শ্রেয়। একটু রিয়েলিটি। বুঝতেই পারছেন।

 অনেকে মনে করে থাকেন এটা সত্যি কাহিনি অবল্মবনে। আবার অনেকে দ্বিমত প্রসন করেছেন। যারা পক্ষে তার কোনো যুক্তি দেখাতে পারেই, তাই গারান্টি দিয়ে কিছুই বলা যায় না।



Personal Rating: 9.6

Personal Grade : A++

Personal Quote : ২০০০ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এটাই সেই মুভি যেটা ফেলে রাখা উচিত হবেনা





0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment