অনেকদিন পর হলিউডের একটি Crime/Thriller মুভি দেখে খুব ভালো লাগলো। দারুনভাবে উপভোগ করলাম মুভিটি। মুভিটির নাম ‘The Lincoln Lawyer’। পরিচালক হলেন ‘Brad Furman’। টানটান উত্তেজনার এই মুভিটি এককথায় দারুন উপভোগ্য বলে মনে হলো আমার কাছে। মুভিটির IMDB রেটিং হলো 7.5। কিন্তু আমি এই রেটিং এর কথা ভুলে গিয়ে সবাইকে মুভিটি দেখতে বলবো। ভালো ২ ঘন্টা সময় কাটবেই বলে আমি মনে করি।
মুভিটির কাহিনী Mick Haller কে নিয়ে। পেশায় সে একজন Defense lawyer। টাকার বিনিময়ে যে যেকোন অপরাধীকেই নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়ে। মুভিটিতে Mick কে একজন লোভী ও দারুন চালুবাজ কিন্তু সাহসী একজন মানুষ হিসেবেই দেখা যায়। কিন্তু এই স্বভাবের কারণে তাকে বেশ কিছু মূল্যও দিতে হয়েছে। তার wife তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং কোন police officer তাকে পছন্দ করে না।
মুভির প্রথমেই দেখা যায় Mick কে টাকার জন্য এক ড্রাগ ব্যবসায়ীর সাথে তর্ক করতে। হঠাৎ করেই সেইদিন Mick এক বিশাল ধনী Mary Windson এর ছেলে Louis Roulet এর বিরুদ্ধে করা এক case পরিচালানা করার অফার পায়। এর বিনিময়ে সে বেশ ভালো অংকের টাকারই প্রস্তাব পায়। Louis এর case টি ছিলো Reggie Campo নামের একজন মহিলার করা sexual assault এবং attempt to murder এর অভিযোগ। প্রমাণ হলে যার জন্য Louis কে বেশ অনেকদিনের জন্যই জেলে যেতে হবে এবং একইসাথে গুনতে হবে বিশাল পরিমাণ টাকার ক্ষতিপূরণ। Louis নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলে যে তার বিরুদ্ধে করা এই case টি সম্পূর্ণ ভূয়া এবং তাকে ফাঁসানোর জন্যই এটি করা হচ্ছে। Mick এবং তার সহকারী/বন্ধু investigator Frank Lovin তাদের client কে নির্দোষ প্রমাণের জন্য কাজ শুরু করে দেয়।
কিন্তু সব প্রমাণই যে Louis এর বিপক্ষে। তাহলে কিভাবে Mick ‘Louis’ কে নির্দোষ প্রমাণ করবে ? Mick এবং Frank কিছু theory সাজায় যাতে Louis কে নির্দোষ প্রমাণ করা যায়। হঠাৎ করেই Mick এর বেশ কয়েকবছর আগের পুরনো তার একটি case এর কথা মনে পড়ে যায়। যেটির সাথে বর্তমানের case এর রয়েছে হুবহু মিল। কিন্তু সেটি ছিলো murder case। সেই case টির আসামী Jesus Martinez ছিলো Mick এরই client। সে এখন সেই case টির জন্য সাজা ভোগ করছে। Mick তার সাথে দেখা করতে জেলে যায়।
হঠাৎ করেই Mick এর সামনে পুরো সত্য এসে হাজির হয়। সে বুঝতে পারে Jesus Martinez এবং Louis Roulet এর case টির আসামী কে ?
একসময় Mick বুঝতে পারে আসলে সেও একটি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে জেনেশুনেই এই case এ জড়ানো হয়েছে। Mick চায় আসল অপরাধীকে ধরিয়ে দিতে। কিন্তু Mick এর প্রতিবাদের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই খুন হয়ে যায় Mick এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু Frank Lovin। Mick এবং তার পরিবারের উপর আসে হুমকি।
কিন্তু Mick এর ভুলের কারণে যে নির্দোষ Jesus Martinez জেলে murder case এর সাজা কাটছে। আরেকজন অভিযুক্ত Louis এর ভাগ্যও এখন Mick এর হাতে। তাহলে কি Louis Roulet এর ভাগ্যেও Jesus Martinez এর পরিণতি ঘটবে ? আসল অপরাধীকে কি Mick কখনো সবার সামনে আনতে পারবে না ? Reggie এবং খুন হয়ে যাওয়া আগের মেয়েটি ও তার বন্ধু Frank কি সুবিচার পাবে না ? সাহসী Mick যে নতি স্বীকার করতে রাজি না। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে , “যেমন কুকুর তেমন মুগুর”। আমার মনে হয় এই প্রবাদকে বিশ্বাস করেই এক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে Mick সামনে এগুতে থাকে।
বাকিটা আর বলে মজা নষ্ট করলাম না। একটু কষ্ট করে ডাউনলোড করে বাকিটুকু নাহয় নিজেই জেনে নিন।
কিছু কথা আগেই বলে রাখি। সবগুলোরই ভালো প্রিন্ট এসে গেছে। তাই খুজলেই পেয়ে যাবেন। সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত রিভিউ এটি। তাই অনেকের সাথে নাও মিলতে পারে।
Battle-Los-Angeles
আবারো পৃথিবীর উপর এলিয়েন এর হামলা নিয়ে জাকজমক মুভি। এই ক্যাটাগরীর মুভিগুলো নিয়ে তেমন উচ্চাশা না করেই দেখতে বলবো। পৃথিবীর উপর এলিয়েন হামলা করেছে। তাদের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে আর সব মার্কিন সেনাদের মতোই একটি ইউনিট ঝাপিয়ে পড়ে। ভালই টাইমপাস মুভি। খারাপ লাগবে না।
Captain America The First Avenger
এই মুভিটি সত্যি কথা বলতে আমি বেশ এনজয় করেই দেখেছি। সবদিক থেকেই ওয়েল মেইড মুভি বলা যায়। বিখ্যাত কমিক চরিত্র Captain Americaকে কে না চিনে ? কিন্তু কিভাবে আসলো এই Captain America ? সেটিই দেখানো হয়েছে এখানে। বেশ ভালই বলতে হবে।
Diary of a Wimpy Kid 2 Rodrick Rules
খুব মজা দেওয়া Diary of a Wimpy Kid এর সেকেন্ড পর্ব এটি। আগের মুভির প্রায় সবাই এই মুভিতেও আছে। এই পর্বে Greg এবং বড় ভাই Rodrick এর সম্পর্কের উপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্বের উচ্চাশা অবশ্য এটি মিটাতে পারেনি। তারপরও টাইমপাস মুভি হিসেবে চালিয়ে যেতে পারেন।
Everything Must Go
Will Ferrall এর ড্রামা মুভি। একদিন হঠাৎ করেই একজন মধ্যবয়স্ক লোকের চাকরী চলে যায় এবং wife তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পকেটেও নেই তেমন টাকা। খুব খারাপ অবস্হায় পরে যায় সে। কিন্তু যত বাধাই আসুক না কেন....জীবন তো আর থেমে থাকবে না। জীবন তার আপন গতিতেই চলতে থাকে। চিত্রনাট্য কিছুটা স্লো মনে হয়েছে। খুব সাধাসিধে মুভি। আমার কাছে তেমন ভালো লাগে নি।
Green Lantern
আরেকটি কমিক চরিত্র নিয়ে নির্মিত মুভি। বিগ বাজেট, তারকাবহুল মুভি ছিল এটি। ভালো টাইমপাস হলেও আমার মনের আশা মেটাতে পারেনি মুভিটি। তাই বলে মুভিটিকে আমি খারাপ বলবো না। বলতে পারি আরো ভাল হতে পারতো মুভিটি।
Horrible Bosses
এটিকে বেশ মজার মুভিই বলতে হবে। অনেক মজা পেয়েছি এই মুভিটি দেখে। বেশ তারকাবহুল মুভি ছিলো এটি। তিনজন মধ্যবয়স্ক ভাল বন্ধু তিন জায়গায় চাকরী করে। কিন্তু এক জায়গায় তিনজনের মিল আছে। তিনজনের বসই দারুন বজ্জাত এবং অফিসে জ্বালিয়ে মারে। বিরক্ত হয়ে তিন বন্ধু মিলে বসদের খুন করে ফেলার সিন্ধান্ত নেয়। তারপরই নানা মজার ঘটনায় মুভিটি এগিয়ে যেতে থাকে। মজাই পাবেন দেখতে।
Priest
আমার কাছে এই মুভিটি দেখে মনে হয়েছে খুব আধুনিক টেকনোলজি ও বিগ বাজেটে নির্মিত শাকিব খান মার্কা বাংলা অথবা হিন্দী মুভি দেখছি আমি। মুভিটির ট্রেলার দেখার পরই কেন জানি মুভিটি দেখতে আমার তেমন আগ্রহ আসে নি। তারপরও কেন জানি দেখলাম এবং দেখে বিরক্ত হলাম। মানুষ বনাম ভ্যাম্পায়ারদের মধ্যকার লড়াই নিয়ে নির্মিত মুভি। কিন্তু কাহিনী বিন্যাস পুরো বাংলা মুভি। বিশ্বাস না হলে দেখুন।
Rise of the Planet of the Apes
একেই বলে মনে হয় মুভি। এ বছরের সেরা কিছু মুভির মধ্যে আমি নির্বিদ্ধায় একে রাখবো। কি অভিনয়, কি পরিচালনা, কি চিত্রনাট্য, কি স্পেশাল এফেক্ট !! সবদিক থেকেই মনোমুগ্ধকর দুঘন্টা কাটিয়েছি এই মুভিটি দেখে। এটির ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই। প্রায় সবাই মনে হয় দেখে ফেলেছেন অথবা দেখার অপেক্ষায় আছেন।
Source Code
একেবারেই ভিন্নধর্মী প্লট নিয়ে নির্মিত সাই-ফাই এই মুভিটি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। বেশ কিছু নতুনত্ব আছে কাহিনীতে। আমেরিকা এক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করে। যার সফল প্রয়োগে দেশ আরো সিকিউরড থাকে এবং আরো উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে। সেই প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়। ভালো এনজয়বল বলেই আমি মেনে নিবো।
Super 8
আরেকটি এলিয়েন নিয়ে নির্মিত মুভি। কিন্তু এটির কথা আলাদা। স্টিভেন স্পিলবার্গ যে এটির প্রযোজক এবং জে.জে. আব্রামস হলেন পরিচালক। আবারো আমেরিকার এক ছোট শহরে হামলা করে এলিয়েন। সবাইকে মেরে ফেলতে থাকে। সেই শহরের ছোট কিছু ছেলের একটি গ্রুপ কাউকে না জানিয়ে সেই এলিয়েনের বিরুদ্ধে এক অভিযানে নামে। বাকিটুকু দেখে জেনে নিয়েন। তবে মুভিটি ভালো লাগবে বলেই মনে হয়। আমার কাছে বেশ লেগেছে।
Fast Five
অনেকদিন পর পরিপূর্ণ ও ওয়েল মেইড অ্যাকশন মুভি পেলাম। আবার হাজির বিখ্যাত মুভি ব্র্যান্ড। আগের সবাই থাকলেও এই পর্বের নতুন আকর্ষন ‘The Rock’। এবারের কাহিনীর জায়গা ব্রাজিলে। সবাই মিলে ব্রাজিলের এক পাওয়ারফুল ও ভয়ঙ্কর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নামে। মিশন একটাই। তাকে শেষ করে দিতে হবে। অনেক ভালো ও বেশ এনজয় করার মতোই মুভি এটি। সবদিক থেকেই ভালো লেগেছে মুভিটি। এটিও মনে হয় প্রায় সবাই দেখে ফেলেছেন।
Limitless
একজন ব্যর্থ লেখক একটি ড্রাগস এর সন্ধান পায়। যা খাবার পর মানুষের চিন্তা-শক্তি ক্ষমতা, নানা কিছুর অবজারভেশন ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। সে এগুলো খেয়ে সফলতা পেতেও শুরু করে। কিন্তু তার সে জানেনা আরও ভয়ঙ্কন কিছু তার জন্য অপেক্ষা করছে। খুবই ভালো লেগেছে। বেশ থ্রিল পাবেন। প্যায়সা ঔসুল।
Win Win
একজন আইনজীবি তার পরিবার নিয়ে থাকে। কিন্তু টাকার কিছু সমস্যার জন্য সে কিছুটা হতাশ থাকে। তাই অনেকটা জোর করেই সে একজন বুড়োর দায়িত্ব নেই। কারণ এর জন্য সে পাবে মাসে ১৫০০ ডলার। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই বুড়োর নাতি এসে হাজির হয়। ভালো ড্রামা মুভি। আমার ভালো লেগেছে।
The Conspirator
আব্রাহাম লিংকনকে হত্যা করা হয়েছে। এর জন্য দায়ীদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এক তরুণ আইনজীবির বিশ্বাস এদের মাঝে একজন নির্দোষ। সে তাকে বাচানোর সংগ্রাম শুরু করে। খুব উপভোগ্য মুভি। একদম সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। বেশ ভালো মুভি।
Water for Elephant
একজন তরুন ভেট শিক্ষার্থী তার ফাইনাল পরীক্ষার দিন বাবা-মা মারা যাবায় অংশ নিতে পারে নি। সে এসে এক সার্কাস দলে যোগ দেয়। কিন্তু সার্কাস দলের মালিকের বউকে তার ভালো লেগে যায়। সবার ভালো না লাগতেও পারে কিন্তু ড্রামা এই মুভিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
Kill The Irishman
১৯৭০ সালের দিকে আমেরিকার মাফিয়া জগত নিয়ে মুভিটি।যখন মাফিয়াদের ভিত নারিয়ে দেয় মাত্র একজন লোক। সত্যি ঘটনা নিয়ে মুভিটি ভালো লাগবে। মুভিটির রেটিং দেয়ার সময় আমি ইচ্ছে করে ১পয়েন্ট বাড়িয়ে দিয়েছি শুধুমাত্র Danny Greene এর সম্পর্কে নেট থেকে আরো জানতে পেরে।
The Lincoln Lawyer
এই মুভির কাহিনীও একজন আইনজীবিকে নিয়ে। একজন ধনীর নামে করা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে সে দেখতে পায় সেই ধনী লোকটির যেভাবেই হোক কেস জেতার সব ক্ষমতা আছে। কিন্তু একসময় সে তার পুরনো এক কেসের সাথে এই কেসের মিল খুজে পায়। মুভিটি একবার দেখতে বসলে শেষ না করা পর্যন্ত উঠা যায় না। এই মুভি নিয়ে আমার আলাদা পোষ্ট আছে। তাই কিছু বললাম না।
আমার পারসোনাল রেটিং........
Battle-Los-Angeles -4.5/10
Captain America The First Avenger - 7/10
Diary of a Wimpy Kid 2 Rodrick Rules - 6.5/10
Everything Must Go- 4/10
Green Lantern- 5.5/10
Horrible Bosses- 7/10
Priest- 2/10
Rise of the Planet of the Apes- 7.5/10
Source Code- 7/10
Super 8- 8/10
Fast Five- 7/10
Limitless-7.5/10
Win Win-7/10
The Conspirator-7/10
Water for Elephant-6.5/10
Kill The Irishman-7.5/10
The Lincoln Lawyer-7.5/10
কেমন হতো যদি এই রকম হতো আপনার ক্ষেত্রে?
আপনি একজন ছাপোষা সেলসম্যান, নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। জীবনের উপর বিতৃষ্ণা ক্রমশই বাড়ছে। পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক নেই বললেই চলে - দূরে সরে আছেন অভিমান করে।জমজ ভাই সামরিক বাহিনীতে আছে - উচ্চাকাঙ্ক্ষী, মেধাবী, সফল একজন মানুষ। আর আপনি? পুরো উল্টো - উদ্যমহীন একজন মানুষ। কিন্তু ভাইকে আপনি ভালোবাসেন জান দিয়ে, একমাত্র প্রিয়জন আপনার এই দুনিয়ায়। আপনার প্রেরণা।
একদিন খবর পেলেন ভাই মারা গেছে রোড এক্সিডেন্টে। শোকাভিভূত আপনি চিরনিদ্রায় শুইয়ে দিলেন ভাইকে। কিন্তু তার পরেই শুরু হয়ে গেল সব অদ্ভুত ঘটনা।
প্রিয় পাঠক, এটা একটা মুভির কিয়দংশের বর্ণনা।
ঠিক উপরের বর্ণীত অবস্থায় আপনি Jerry Shaw (Shia LaBeouf) কে দেখতে পাবেন
মুভিতে।
দেখতে পাবেন আরও অনেক মানুষকে যারা জড়িয়ে গেছে এই অদৃশ্য নির্দেশ এর জালে। যে নির্দেশ অমান্য করা মৃত্যুর শামিল - হয়তো মৃত্যু থেকেও ভয়ঙ্কর।
কি চায় এই রহস্যময় নির্দেশ দাতা? শুধু মাত্র ফোনেই যার নির্দেশ পাওয়া যায়! কি তার উদ্দেশ্য? জানতে হলে দেখে ফেলুন মুভিটা আর শেয়ার করুন আপনাদের মতামত।
ভালো টাইম পাসিং মুভি। বহুল চর্চিত কনসেপ্ট। আর সিরিয়াস মুভিখোর দের জন্য অবশ্যই রিকোমেন্ডেড নয়। খুব আশা ভরসা না নিয়ে দেখতে বসলে আশা করি ভালই লাগবে।
আই এম ডি বি রেটিং : ৬.৬/১০
আমার রেটিং : ৬/১০
@@@ Md. Nazmush Shakib @@@
যারা আমার ব্লগ পড়েন তারা মাত্রই জানেন যে আমি পিওর ড্রামা খুব পছন্দ করি। যদিও ক্রাইম ড্রামাই আমি বেশি দেখি কিন্তু পিওর ড্রামা আমার সবথেকে প্রিয়। বাংগালির ছেলে, বড় হয়েছি আকাশ,বাতাসের সংস্পর্শে, পরিমিত আবেগ এবং খুব কাছ থেকে ছুটতে থাকা মানুষের ঘামে জীবনের লবনাক্ত স্বাদ পেয়েছি। যুক্তির এ পর্যায়ে পিওর ড্রামা ভালোলাগা কি স্বাভাবিক না। এর আগে আমি একবার ড্রামা জেনার ভিতর ও বাহিরের কথা বলেছি। এবং আমার পছন্দের সেরা কিছু ড্রামা মুভির কথাও উল্লেখ করেছি। পোষ্টটি এখানে। ড্রামা পরিচিত সাধারনত মানুষের জীবনের ভার্চুয়ান সংস্করন হিসেবে। তারমানে বুঝতে পারছেন ? ড্রামা ফিল্ম একমাত্র জীবনের কথা বলে। পরিস্কার জীবনের ফলাফল। সত্যিকার অর্থে জীবনধারন ও এর কর্মকর্তাদের সমালোচনাই হলো ড্রামা সংগা। |
খুব ভাবিয়েছে তাইনা ?
স্বাভাবিক !!
হ্যা এরকম কিছু মুভির নাম জানাবো আজকে যেগুলো সপ্নের উপর করা হয়েছে, সপ্নকে থিম ধরে নির্মান করা হয়েছে মুভিগুলো।
কিছু কিছু তুলনা করেছে বাস্তব আর সপ্নের।
কিছু কিছুতে বাস্তবকে সপ্নের রুপান্তর ব্যাখা দিয়েছে।
কিছু কিছু বাস্তবের সমাধান দিয়েছে মুভিতেই।
কোন আবার সপ্নের আলসেমিকে হরর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোথাও আবার গুরুত্ত্ব অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। বাস্তবতার আলক্ষে সৃষ্টি এই মুভিগুলোর নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
পৃথিবির কোনো জিনিষি ফেলনা না। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। হয়তো অনেকেরও একই মতামত। এবং এই মুভিরো একই মতামত। সবকিছু যে নিয়মতান্ত্রিক। এবং প্রকৃতিপ্রদত্ত। তার একটা ক্লাসিকফিকেশনে ঢুকে এই মুভি ভাবা হয়েছে।
পোষ্টার এক
দুটোতেই নায়ক প্যারালাইসড থাকে
থোর মুল চরিত্র। Asgard দেশের রাজপুত্র সে। সম্প্রতি তার রাজা হবার কথা। কিন্তু কিছু কর্মকান্ড এবং অতিরিক্ত বদ মেজাজের জন্য তার পিতা তাকে পৃথিবিকে নিক্ষেপ( একটি টাইম মেশিং বা ঐ টাইপের ট্রান্সফার যন্ত্র বাবস্থার মাধমে) করে। শাস্তি সরুপ তার প্রধান অস্ত্র বিশালাকার হামারটাকে অকেজ করে দেওয়া হয়। হামারটার সংস্পর্শ পৃথিবিতে এসে পেলেও সে সেটা কাজে লাগাতে পারেনা,। পৃথিবিতে তার আগমন বিজ্ঞানি সমাজে বেশ আলোড়োন তোলে। নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কার বিজয়ী, আমার পছন্দের এবং সেরা অভিনেত্রি নাটালি পোর্টমান। তার মুখদিপ্ত দেখেই প্রশান্তি ।
A Clockwork Orange !!! ধ্রুপদী সঙ্গীত,ধর্ষণ ও অতিমাত্রায় সহিংসতা এর মূল আকর্ষন।
Stanley Kubrick এর পরিচালনা, Malcolm McDowell এর অভিনয় আর টানটান কাহিনির সমন্বয়ে এটা একটা টাইমবোম্বে পরিনত হয়েছে। কিছু মুভি থাকে যার কোনো তুলনা হয় না। এটা সেরকমেরই একটা মুভি। আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটি এটি। ব্যক্তিগতভাবে একে আমি রেটিং দিব ৯.৫ ।
এটি প্রধান চারটা শাখায় অস্কার নোমিনেশন পেলেও জিওততে পারেনি। সেবার অস্কার ঘরে নিয়েছে The French Connection
যাই হোক, কিছু মুভি আছে যা আলোচনার অন্তহিন। মানে যা নিয়ে ঘন্টারপর ঘন্টা আলোচনা করা যায়। এটা সেরকম একটা মুভি।
১৯৬২ সাল। ৩য় বিশ্বযুদ্ধএর আয়োজন চলছে। তার সাথে X-Men দের একটা সম্পর্ক। সেটা ঠেকানো। আর এর উপরেই কাহিনি আগাবে। সেরকম প্যাচের কোনো কাহিনি না। দেখলেই বুঝতে পারবেন।
Personal Rating: 6.5
আমার সব থেকে ফেভরেট অভিনেতা -
Robert De Niro। তিনি আছেন ১ নং পজিশনে। সর্বমোট তার ৮ টা মুভি আছে এই ২৫০ লিষ্টে।
সাধারনত ড্রামা ফিল্ম বলতে বাস্তব,বিশ্বাসযোগ্য গল্প যাতে রয়েছে আবেগের ছড়াছড়ি আর নান প্রশ্নের উত্তর, যাতে রয়েছে জীবনের নানা দিক, শিক্ষা। সংস্কৃতি আর কিছু মনকাড়া সংলাপ যা সাধারনত আমরা বলে থাকি এবং শুনে থাকি প্রতিনিয়ত।
আমার সব থেকে পছন্দের জেনার হলো ড্রামা। আজ সকালে হিসেব করে দেখলাম আমার প্রায় দুই শতাধিকের উপরে ড্রামা ফিল্ম দেখা হয়েছে। ৭০ % ড্রামা ফিল্ম আমার কাছে ভালো লেগেছে। ভাবলাম এই ভালো লাগাটা শেয়ার করি।
সর্বকালের সেরা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রঃ সমালোচক দৃষ্টিকোনে
বাংলাদেশে প্রচুর পরিমান মুভি মুক্তি পাচ্ছে নিয়মিত। যে কেউ স্বিকার করবে এখনকার মুভি কিছুই না। বাইরের কথা কি বলবো আমরা নিজেদের তুনলাই নিজেরা দিতে পারিনা এখন। যাই হোক দেখি সেরা মুভিগুলোর নাম। যা সমালোচকদের রায়ে নির্বাচিত হয়েছে।
এবারের পর্বে আলোচনা করবো সেরা পরিচালক নিয়ে। অস্কারে এটা আমার সবথেকে প্রিয় কাটাগরি। ২০১১ সালে বেশ ভালো মুভি এসেছে। নিয়ে এসেছেন কিছু চেনা এবং অচেনা পরিচালক। কিন্তু সেই টানটা থেকেই গিয়েছে যা সর্বদাই থাকে। কিছু কমন ডিরেক্টর এবং তাদের অস্কার ছিনিয়ে নেবার।
২০১১ সালের প্রথম দিকে বেশীভাগি ছিল ব্যানিজিক ফিল্ম। কিন্তু এই মাস থেকে আগামি ২ মাস আমরা কিছু মুভির মুখোমুখি হব যেগুলো সেরাদের সেরা।
তাহলে আমি বলি আমার প্রেডিকেশন। এবারের পর্বে আমরা আলোচনা করবো শুধু সেরা পিকচার বা সেরা ফিল্ম । নিয়ে পরের পর্বে থাকবে সেরা অভিনেতা। এভাবেই এগিয়ে যাব।
সতর্কতাঃ এটা কিন্তু অবশ্যি ১৮+ পোষ্ট। তাই ছোটদেরকে এখানে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।
২০০৫ সালের Fuck - a documentary on the word মুভিতে প্রায় মোট ৮২৪ বার Fuck শব্দটি ব্যবহারিত হয়েছে। মুভিটির রান টাইম ছিল ৯৩ মিনিট। ফলে গড়ে প্রতি ১ মিনিটে ৮.৮৬ বার ফাক ব্যবহার করা হয়েছে।
আমার জংগল খুব ভালো লাগে। প্রচন্ড। সাধারনতো আমি আমার ভালোলাগাগুলো মুভির ভিতরেই খুজে থাকি। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় সেই অনুসারে আমিও পেয়ে যাই মুভির নাম।
জংগল মানে ক্রাইম, আডভেঞ্চার, থ্রিলিং, এবং আরো বিভিন্নরকম আনন্দদায়ক মুহুর্ত। দেখেও ঘুচে যায় চিরচেনা স্বাদ।