Search

W. Somerset Maugham এর উপন্যাস নিয়ে এই মুভি দাড় করানো হয়েছে। আমি মমের এয়ার হোষ্টেজটা পড়েছি। হাড়ির একটা ভাত টিপলেইতো বোঝা যায়। যতদুর মনে হলো লোকটা মানব মানবির সাইকোলজি নিয়ে লিখে মজা পান, যেটা আমাদের কবিগুরুও পেতেন। যাই হোক এটা হলো সেই মুভি যাতে মনমুগ্ধকর পরিবেশ,ভালোবাসার একটা নিরেট সঙ্গা, Edward Norton, Naomi Watts দুজন বিখ্যাত অভিনয় শিল্পী আছেন। 

হুট করে বিয়ে হয় ফেনের সাথে কিটির, কিন্তু সহসাই যেটা হয় কেউ একজন থাকতেই পারে। সেরকম কিটিরও একজন প্রেমিক আসে। বিয়ের পরেও তারা শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকে। ফেন জেনে ফেলে, যদিও কিছু বলেনা। কিন্তু ভালোবাসার এই স্থিতি কষ্ট তাকে আঘাত করে। সাংহাইতে এক গ্রামে কলেরায় বেড়েছে, যেখানের ডাক্তারও কলেরায় মারা গেছে। সেখানেই কিটিকে যেতে বলে ফেন, নিজের সাথে। কিটি রাজি না হওয়াতে ফেন দুটি অপশন দেয়। ডীভোর্স অথবা ওখানে যাওয়া।প্রেমিকএর থেকে সাড়া না পেয়ে কিটি যেতে রাজী হলো। 

ওখানে গিয়ে ফেনের ব্যস্ত জীবনে তাকে সময় না দেওয়াতে, গল্প করার মত মানুষ না থাকাতে, কলেরার আতঙ্কে কিটি একেবারে বিষিয়ে উঠেছিল। কিন্তু ধিরে ধিরে সে আবছা একটা ছায়া দেখতে পেল, সে ছায়া ভালোবাসার, দেখেতে পেল বুকের গভীরে। ফেনকে সে একটু একটু ভালোবেসে ফেলল। মুভির এই সময়টাতে একটা প্রশান্তি এল বুকে। বুক থেকে মস্তিষ্কে এবং সেখান থেকে যখন সারা শরীরে ছড়িয়ে পরবে তখন বাধলো ঝামেলা, খচখচনি নিয়েই শেষ হলো মুভি । তাহলে কি হলো ?

আমার রেটিংঃ ৪.৪

" বাহিরপানে চোখ মেলেছি,বাহির পানে
আমার হৃদয়পানে চাইনি আমার
হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, দেখতে
তোমায় পাইনি, আমি দেখতে তোমায় পাইনি।


0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment