Search

আমি এই সিনেমার প্রিমিয়ারে ছিলাম। সেইজন্য যে রিভিউ লিখছি তা নয়, ছবিটা এ রকমই যে দেখার পর লিখতে এমনিতেই ইচ্ছে হতো। এ সিনেমার প্রতি আগ্রহের সাথে জড়িয়ে আছেন সবার প্রিয় লতিফুল ইসলাম শিবলী ভাই। তাকে সবাই গীতিকার হিসেবে চিনলেও আমার কাছে তার আলাদা একটা পরিচয় আছে। শিবলী ভাই ট্রাস্টেড ব্রিলিয়ান্ট। ‘পদ্ম পাতার জল’র কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ তার। পরিচালনা করেছেন তন্ময় তানসেন। প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমন ও বিদ্যা সিনহা মিম। শহীদুজ্জামান সেলিম ও তারেক আনামের মতো প্রতিভাবান অভিনেতা আছেন। আছেন মিরাক্কেলখ্যাত আবু হেনা রনি।
আমার খুব মায়া লাগে অথবা বলা যায় আমি খুব আহত হই যখন দেখি কেউ হল প্রিন্ট, প্রি ডিভিডি প্রিন্ট কোন মুভি দেখছে।
এতে মুভিটাকে অপমান করা হয়, যে জিনিসটার নাম মোশন পিকচার, যে জিনিসটা তৈরী হয়েছে দেখানোর জন্য সেটা ওরকম প্রিন্ট কিভাবে দেখে মানুষ ?


আমি একবার ট্রাই করলাম। বিশ্বাস করুন এতে সিনেমার আবেদন কমে যায়। সিনেমার যে আসল চেহারাটা, সিনেমার যে ব্যক্তিক্ত সেটা নষ্ট হয়ে যায়। ঝকঝকা প্রিন্টের সিনেমাগুলোর মেজাজ অন্যরকম থাকে। প্রিন্ট যত ভালো হবে, ব্যক্তির মনযোগ তত কড়া হবে। তাতে সিনেমার সাথে মানুষের যোগাযগে সুবিধা হয়।
আমরা যারা ৯০ তে জন্মেছি তারা অবশ্যই স্টার মুভিজ , ওয়ার্ল্ড সিনেমা , এইচ,বি,ও দেখে বড় হয়েছি। আমরা কিছুতেই আমাদের সিনেমা প্রেমে নিকোলাস কেইজকে অস্বীকার করতে পারবনা। আইডিবি ঘুরে ঘুরে কেইজের সিনেমার ডিভিডি এনে এক নিশ্বাসে গিলে ফেলা। সেই সময়টা যেরকম সুন্দর- এখন অনেক মুভি দেখে ফেলার পরেও যখন দু-একটা কেইজ আবার দেখা হয় আরও ভালোলাগে, এই সময়টাও দারুন সুন্দর।
গতকাল দেখলাম Wild at Heart (1990)
২০১২। আজ থেকে গুনে গেলে প্রায় দুই বছর আগেই আমি এই ব্লগে লেখা ছেড়ে দিয়েছি। অন্য কোন ব্লগে লিখেছি তা কিন্তু নয়। আসলে জীবনটাকে একটু খাড়া করবার জন্য এই সাময়িক বিরতি। সাময়িক বলছি এ জন্য যে শেষমেশ ফিরেতো এসেছি। লেখালেখির সাথে সম্পর্ক না থাকলেও সিনেমার সাথে সম্পর্ক নেই এটা হয়নি। এ দুবছরে অনেক দেখেছি। অনেক কথা জমে আছে মাথার মধ্যে। ধীরে ধীরে সব এই ব্লগে চলে আসবে।


অনেক দিন ভালো মুভি রেকমেন্ড করিনা। আজ আমার কিছু পছন্দের অন্যরকমের মুভি শেয়ার করছি। প্রতিটি মুভি আমার অস্মভব প্রিয়। বিভিন্ন জেনারে এরা পরিচিত হলেও এদের ভিতরে রোমান্টিকতা ঠাসা ঠাসা। আমি যে মুভিগুলো দিচ্ছি, সেখানে প্রতিটি মুভিতে কিছু বিষয় কমন থাকবে। যেমন, Interesting, emotional, eccentric, quirky, exciting love storiesআর এইসব সাব জেনার  মিলিয়ে একটা জেনার দাড় করালাম, Unconventional Love Story.
 বিঃদ্রঃ রোমান্টিকতায় সেরা কোরিয়ানরা। ইচ্ছা করেই কোরিয়ান মুভি কম রাখার চেষ্টা করেছি।
এখানের প্রতিটি ফিল্ম আমার প্রচন্ড পছন্দের এবং আমার প্রিয় তালিকার সবথেকে উপরের দিকে। এদের সবগুলো মুভিকে আমি ফাইভ ষ্টার রেটিং-এ আখ্যায়িত করে থাকি। আই এম ডি বি রেটিং দেখলে ঠকবেন। কিন্তু কিছু মুভি প্রচুর আনরেটেড>
W. Somerset Maugham এর উপন্যাস নিয়ে এই মুভি দাড় করানো হয়েছে। আমি মমের এয়ার হোষ্টেজটা পড়েছি। হাড়ির একটা ভাত টিপলেইতো বোঝা যায়। যতদুর মনে হলো লোকটা মানব মানবির সাইকোলজি নিয়ে লিখে মজা পান, যেটা আমাদের কবিগুরুও পেতেন। যাই হোক এটা হলো সেই মুভি যাতে মনমুগ্ধকর পরিবেশ,ভালোবাসার একটা নিরেট সঙ্গা, Edward Norton, Naomi Watts দুজন বিখ্যাত অভিনয় শিল্পী আছেন। 

হুট করে বিয়ে হয় ফেনের সাথে কিটির, কিন্তু সহসাই যেটা হয় কেউ একজন থাকতেই পারে। সেরকম কিটিরও একজন প্রেমিক আসে। বিয়ের পরেও তারা শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকে। ফেন জেনে ফেলে, যদিও কিছু বলেনা। কিন্তু ভালোবাসার এই স্থিতি কষ্ট তাকে আঘাত করে। সাংহাইতে এক গ্রামে কলেরায় বেড়েছে, যেখানের ডাক্তারও কলেরায় মারা গেছে। সেখানেই কিটিকে যেতে বলে ফেন, নিজের সাথে। কিটি রাজি না হওয়াতে ফেন দুটি অপশন দেয়। ডীভোর্স অথবা ওখানে যাওয়া।প্রেমিকএর থেকে সাড়া না পেয়ে কিটি যেতে রাজী হলো। 
আবারও রবীন্দ্রনাথ, আবারও ঋতুপর্ন। সাথে প্রসেঞ্জিত এবং যিশু। রাইমা , রিয়া দুই বোন এক মুভিতে এবং বিপরীত অভিনয় শিল্পী। নোউকাডুবি যারা পড়েছেন তারা জানেন একটু সাদাসিধে হলেও গল্পটা কত অসাধারন। আর ঋতুপর্নের ছোয়ায় মুভিটিতে এসেছে নতুন প্রান। যদিও যুগের তালে ঋতুপর্ন মুভিটিকে আডভেন্স আকারে প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে রবীন্দনাথ থেকে অনুপ্রনিত বলা চলে। ঘটনার মাড়প্যাচে, মুভির মাঝপথে মুভি এত জমে ওঠে, সত্যি হা করে গেলার মত। আমার দেখা সেরা ১০ মুভির এটা একটা। এবং অন্যতম। নিজের অনিচ্ছায় বাবার ইচ্ছায় বিয়ে করতে বাধ্য হয় রমেশ। । অথচ শহরে তার প্রেয়সী তারই অপেক্ষায় খেলাঘর নির্মান করছে। ঝড়ের কবলে নৌকডুবি এড়িয়ে বউ নিয়ে শহরে এসেও সে ভুলতে পারেনা তার প্রেয়সীকে। দমিয়ে রাখতে না পেরে সবকিছু লুকিয়ে তার প্রেয়সী হেমাকে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। হেমা রাজি !!! 

অনেক হলো সমালোচনা। এবার ক্ষ্যান্ত দিব তাহলে। যারা ভাবে তারা ভাবতেই থাকে। ভাবনার শেষ নেই। ভেবে কাজ করাটাই আমার উদ্দেশ্য। বাংলা ফিল্ম কেন আমাদের মন মত হচ্ছেনা ? কি করলে এর শেষ মিলবে। আসুন সমাপ্তি বের করি, বন্ধ করি বাজে সমালোচনা।
কবিগুরু বলেছেন, উপদেশ দেওয়া সহজ, কঠিন হলো উপায় বের করা।
অডিয়েন্স কি চায় ?
বাংলা ফিল্মে   তা আছে কিনা ?
থাকলে কতটুকু ?
কিভাবে আনা যেতে পারে ?
আমরা কি আনতে বাধ্য করতে পারিনা ?
অডিয়েন্স কি চায় ?

My Blueberry Nights নাটালি পোর্টম্যান অভিনিত একটা চরম রোমান্টক ফিল্ম। নাটালি পোর্টম্যান আমার দেখা হলিউডি সেরা নায়িকা। আর সেই থেকেই পরিচয় এই মুভির সাথে। রোমান্টিক ড্রামা দেখেই ডাউনলোড করলাম। পরে জানা গেল এই ফিল্মের পরিচালকও বড়সড় মাপের একজন।

যাই হোক ফিল্মটাতে পোর্টম্যান খুব অল্প সময়ে এবং পার্শচরিত্রে। কিন্তু মূল চরিত্রের থেকে কোন অংশে কম আকর্ষনিয় ছিলনা।

জমজমাট অভিনয় আর ব্যাখার ভিতরে দিয়ে এই মুভি নিজেকে পরিচয় করাবে নিজের সাথে। মুলত নায়িকার প্রেম বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে কাহিনি প্রকাশ পেলেও আরও বেশ কয়েকটি ভালোবাসা ভিন্ন আঙ্গিকে দেখান হয়েছে। আসলে ভালোবাসার প্রধান ভিত্তি হলো, সংগ,সান্তনা, আর একটু কাছে থাকার প্রবনতা। 
বিচ্ছেদ শেষে নায়িকার পরিচয় ক্যাফের ছেলের সাথে, নিজের দুক্ষ ভুলতে পালিয়ে বেড়ায় সে, অজানায়। পরিচিত হয় বেশ কিছু আকর্ষনিয় চরিত্রের সাথে। সবার একটা দুক্ষ থাকে, এবং সেটা যে তার থেকে কম নয়, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারে সে। সেইসব মানুষগুলোর দুক্ষের সময়ের কার্যকলাপ তাকে সীধান্ত নিতে সাহায্য করে। ধীরেধীরে ভুলে যায় সে, হারানো ভালোবাসা। কিন্তু ক্যাফে ছেলেটাযে তাকে ভালোবেসে পাগলের মত খুজছে। তার কি হবে ?
আমার রেটিংঃ ৪.৬

" সখি ভাবনা কাহারে বলে,সখি যাতনা কাহারে লে
তোমরা যে বল দিবস রজনী,ভালোবাসা ভালোবাসা
সখি ভালোবাসা কারে কয় ?
সেকি কেবলই যাতনা ময়।

Dont Go Breaking My Heart হং-কং এর মুভি। আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটা । এবং অবশ্যি সেরা রোমান্টিক মুভি। এই মুভি বা এর গল্প এমন একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করে যা আমরা সচরাচর দেখতে পাই।

তাহলো, সুন্দরী, প্রেয়সী, আদরের, মুগ্ধকর, প্রানের মানুষটার একান্ত ভেতরকার একটা অপরিচিত দ্বন্দ। ত্রিভুজ প্রেম । একজন সাদাসিধে, সৃজনশীল। ধ্যান জ্ঞান তার বোধ হয় নেই। আরেকজন যেমন দেখতে, তেমন তার ক্যারিয়ার , তেমন পারসোনালিটি। ঝামেলাতো এখানেই।

যা হয়! ওই সুদর্শনের প্রেমে না পরে মেয়ের উপায় আছে কোন। নেই । যা হবার তাই হলো। কিন্তু নিয়তি। মানলো না। ভেঙ্গে দিল। আবার শুরু হলো সাদাসিধের সাথে প্রেম। কিন্তু আবার ?
সুর্দশন যে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, ক্ষমা চাচ্ছে ? ওদিকে সাদাসিধে, বাবা মাকে জানিয়ে বিয়ের আয়োজন করছে। চিরায়িত দন্দে মেয়ে, ভুগছে। মেয়েটার কার কাছে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন ভালো কিন্তু দুজনেই সমান সমান বাসে । কিন্তু , এখন কি হবে ?

আমার রেটিংঃ ৪.৮ (৫)

" যদি আরও কারে ভালোবাস,যদি আরও নাহি ফিরে আসো।
তবে তুমি যাহা চাও, তাহা যেন পাও, আমি যত দুক্ষ পাই গো।